জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে
বাস্তবায়ন হচ্ছে ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট
প্রকাশিত : ১৩:৫৬, ১২ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ২১:১৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
বর্তমান সরকার জেন্ডার বৈষম্য নিরসনে ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আজ ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে স্ট্রেনদেনিং জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেটিং প্রকল্পের আওতায় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে উইমেন ইন ডেভেলপমেন্ট (উইড) ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট মূল লক্ষ্য বৈষম্য হ্রাস ও সুযোগের সমতা সৃষ্টি। যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে একটি সমতাপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। এছাড়াও এশিয়াতে শীর্ষে অবস্থান করছে। এখানে ভারতের অবস্থান ১১২তম, আমেরিকা, জাপান, চীনসহ আরো অনেক শিল্পোন্নত এবং পরাশক্তি অনেক দেশই বাংলাদেশের পিছনে।
জেন্ডার বাজেট বৃদ্ধির হার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে বাজেট ছিল ২৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩০.৮২ শতাংশ। জিডিপির ৫.৫৬ শতাংশ। গত ১০ বছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ গুণ, মন্ত্রণালয় বেড়েছে ৩৯টি।
তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে জেন্ডার সমতা, শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য ও টিকা দানের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর আর্থসামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান হয়। এজন্য দরকার নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্টপোষকতা এবং আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ৪৩টি মন্ত্রণালয় ৩টি গুচ্ছে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতে ৯ টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। উৎপাদনক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজার ও আয়বর্ধক কাজে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ৯টি মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে নারীর সুযোগ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সরকারের ২৫টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে আজকের সভায় ৪৩ টি মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিল। সভায় ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাবৃন্দ নারী উন্নয়নে গৃহীত সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ও নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার হালনাগাদ অগ্রগতি তুলে ধরে। আরো উপস্থিত ছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দপ্তর সংস্থার প্রধান ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরকে//
আরও পড়ুন